সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

|| নিস্পাপ অপরাধ ||

❑ শুনো, মায়াবতী— আমার প্রেমে পড়ার বয়স ছিল না, শুধু তোমার এক জোড়া চোখের দিকে তাকিয়ে অপরাধ করেছিলাম! সে অপরাধের শাস্তি হলো— এক জীবনের অপেক্ষা, এক পৃথিবীর দূরত্ব, আর এক নামহীন অন্ধকার, যেখানে তুমি নেই, শুধু তোমার ছায়া রয়ে গেছে! "জানতাম কি?" তোমার চোখে ডুবে যাওয়াটা এত বড় পাপ হবে? তুমি কি বোঝোনি, আমার হৃদয়টাকে বন্দী করার দায় তোমারও কিছুটা ছিল? ভুলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু স্মৃতিরা পথ আগলে দাঁড়ায়— সেই প্রথম দেখা, সেই শেষ বিদায়, সেই অপূর্ণ কথারা আজও বাতাসে ঝুলে আছে, কোনো এক দুর্বোধ্য ভাষায় আমাকে ডাকে। মায়াবতী, তুমি তো চলে গেছো— তাহলে আমার অপরাধের ক্ষমা মিলবে কবে? নাকি আজীবন এই শাস্তিই বয়ে বেড়াতে হবে, এক নিষ্পাপ অপরাধীর মতো? ─────────────── | লেখায় - মোঃ সোহান | #দন্ত্যস | ৫'ই ফেব্রুয়ারী |২৫ ইং|৭৬৯| ───────────────
সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

অবাধ্য মন তোমায় নিয়ে ব্যস্ত

 ❑ আমার জীবনে কোনো ব্যস্ততা নেই, আর থাকলেও তা কেবল তোমায় মনে করার অবাধ্যতায় বিলীন হয়ে যায়। কতটা বেপরোয়া হয়ে প্রতিটি মুহূর্তে তোমার স্মৃতি আঁকড়ে ধরি, তা —কেবল আমি জানি। তোমার অবহেলার প্রতিটি কাঁটা আমার হৃদয়ের গভীরে রক্তাক্ত রেখা টেনে দিয়েছে, তবু আমি সেগুলো সযত্নে লালন করি। জানি, এগুলো আমাকে ধ্বংস করছে, তবুও যেন এক অদ্ভুত তৃপ্তি খুঁজে পাই সেই ক্ষতগুলোর ভেতরে। তুমি চলে গেছো, কিন্তু তোমার ছায়া আমার ভেতর প্রতিদিন বেঁচে থাকে। আমি জানি, এগুলো নিছক স্মৃতি, কিন্তু সেই স্মৃতিগুলো'ই আমার ধ্রুবতারা, যা অন্ধকারে পথ দেখায়। আমি মুক্তি চাই না, চাইলেও পারি না। তোমার প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠে আমার নিঃশ্বাসের অংশ। তুমি দূরে সুখে থাকো। আমি তোমার কাছাকাছি না থেকেও তোমায় মনে করার অপরাধে নিমগ্ন থাকি। এটাই হয়তো আমার একমাত্র সত্য। ─────────────── | কথায় - ভিলেন | #দন্ত্যস | ১৮'ই ডিসেম্বর | ২০২২-২৪ | ───────────────

ব্যক্তি ভেদে চরিত্রের রঙ পাল্টে যায়

❑ মানুষ আমি একজনই! তবু ব্যক্তি ভেদে চরিত্রের রঙ পাল্টে যায়। কারো কাছে আমি গম্ভীরতার প্রতিমূর্তি, কারো কাছে বদমেজাজি, কঠিন আর কঠোর। আবার কেউ আমাকে দেখে হাসির উৎস, কেউ ভাবে আমি রোমান্টিক, কেয়ারিং, বুদ্ধিমান। কেউ ভাবে আমি অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারি, আবার কারো চোখে আমি একেবারে অক্ষম। কেউ মনে করে আমি ভাবুক, পরোপকারী, আবার কারো কাছে আমি খরুচে আর জঘন্য। একজনের কাছে ভদ্র, অন্যজনের কাছে দুর্বোধ্য। তবু মানুষ তো আমি একটাই। তোমার চোখে যেমনটা দেখেছো, তেমনটাই আমি হতে পারি শুধু তোমার জন্য। তুমি আমার কাছে যতটুকু আদায় করে নিয়েছো, ঠিক ততোটুকুই তুমি পাবে। এর বেশি না, এর কমও না। কারণ, সম্পর্কের মাপকাঠি তোমার আর আমার অন্তরের গভীরতাই ঠিক করে। তাই মানুষ আমি একটাই, তবে তোমার দৃষ্টিতে আমি ঠিক যে রঙ, সেই রঙেই আমি ফুটে উঠি।

আমরা একে অপরের কাছে বোবা।

 ❑ তারপর সেই যে কথা বলা বন্ধ হলো, আর কখনো আমাদের শব্দের প্রয়োজন'ই পড়েনি। শব্দগুলো যেন ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল, অভিমানের ভাষাও ততদিনে থেমে গেছে। এক সময় আমরা কথা বলতাম ঘণ্টার পর ঘণ্টা, ছোট্ট দেরিতে অভিমান জমতো আকাশের মতো। প্রত্যেকটা বাক্য ছিলো আমাদের হৃদয়ের এক টুকরো, প্রতিটি শব্দে ছিলো ভালোবাসার ছোঁয়া। কিন্তু আজ? আমরা একে অপরের কাছে বোবা হয়ে গেছি।  না কোনো প্রশ্ন, না কোনো উত্তর, শুধু নীরবতা, যেন এক অস্পষ্ট দেওয়াল। কখন থেমে গেল এই প্রবাহ? কেন এই নীরবতা শিকড় গেড়েছে আমাদের মাঝে? হয়তো সময়, হয়তো দূরত্ব,কাছের মানুষ,  অথবা আমরা নিজেরা'ই। তবু এই নীরবতায় এক অদ্ভুত সত্য লুকিয়ে আছে— শব্দহীনতাও ভালোবাসার এক রূপ, যেখানে দূরত্ব বাড়ে, কিন্তু স্মৃতির রেশ বেঁচে থাকে। —কথায়; (ভিলেন) —২৪শে নভেম্বর ২২

তারপর আর কাউকে ভালো লাগেনি।

 তারপর— তারপর হৃদয়ের দরজা যেন চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে গেল।যে স্পর্শ একদিন আলোর মতো ঝলমলে ছিল, তা এখন শুধুই স্মৃতির ক্ষীণ ছায়া। তারপর আর কাউকে ভালো লাগেনি, মনে হয়, যেন ভালোবাসার সমস্ত রং সেই এক মুহূর্তে'ই ফুরিয়ে গেছে। বাঁকি যা আছে, তা কেবল ধূসর স্মৃতি, আর একটি নিঃসঙ্গ অপেক্ষা। তবু জীবন তো থেমে থাকে না, চলতে হয়, সামনে তাকাতে হয়। কিন্তু সেই "ভালো লাগা" যেন এক সুর, যা আর ফিরে আসে না, কেবল প্রতিধ্বনি হয়ে বাজে। —কথায়;(ভিলেন) —২২শে নভেম্বর ২২

প্রতিশ্রুতি

সব কথা ফুরিয়ে গেলে, নিস্তব্ধ রাতের আঁধারে আমি ব্যথাদের উড়িয়ে দেব, হাওয়ার মতো মুক্তি দেবো তাদের, যারা আমাকে প্রতিটি নিঃশ্বাসে জ্বালিয়েছে। আমি আর করবো না হৃদয়ের সাথে নির্মম অবিচার, যে হৃদয় ভাঙা তবু বেঁচে থাকার গান গায়, তাকে আর কাঁটার মুকুট পরাবো না। জীবনের প্রতি প্রতিশ্রুতি নতুন করে রচনা করবো। যে অশ্রু ঝরেছে, তা ফিরে আসবে না আর, যে ক্ষত হয়েছে, তা মিলিয়ে যাবে সময়ের ছোঁয়ায়। শুধু আমি থাকব—নিঃশব্দ, অটুট, এক নতুন ভোরের অপেক্ষায়। —কথায়; (ভিলেন) —২২শে নভেম্বর **

তোমার জন্য লেখা এক চিরন্তন কবিতা।

 ❑ —নিধি, বলো তো, কেন? কোন অপরাধে এ এষণা, এ অবজ্ঞা? আমি কি তবে এতটা'ই নগণ্য, এতটা'ই দোষী? ভালোবাসা দিতে গিয়ে'ই কি করলাম ভুল? তোমার চোখের পাতা যতবার পড়েছে আমার দিকে, আমার হৃদয় ততবার ভেঙেছে নতুন এক ছন্দে। তবু তুমি আমাকে 'ভিলেন' আখ্যা দিলে— শুধু এ কারণে যে আমি তোমায় চেয়েছিলাম। তোমার হাসির আড়ালে যে বিষাদ লুকিয়ে ছিল, আমি কি তার সারথি হতে চেয়েছিলাম বলে'ই? তোমার চোখে যে এক বুক ঝড়, আমি কি তার বৃষ্টি হয়ে ঝরতে চেয়েছিলাম বলে'ই? তোমার নীরবতাকে ভাষা দিতে গিয়ে তোমার পাথর হৃদয়ে ছোঁয়া দিয়েছিলাম ভুলে। তুমি কি জানো, নিধি? তোমার অভিমানের প্রতিটি শব্দে আমার হৃদয় রক্তাক্ত হয়েছে বারবার। তোমার প্রত্যাখ্যানের প্রতিটি শীতল দৃষ্টিতে আমার স্বপ্নগুলো ঝরে পড়েছে অ'কালে। —তবু আমি থেমে যাইনি, তোমার নাম ধরে ডেকেছি প্রতিটি রাতের নিঃশব্দে। তোমার স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে তোমার ছায়াকে মায়া ভেবে ভেবেছি দিনের পর দিন। কিন্তু তুমি চুপ, সব সময় চুপ। তোমার সেই চুপ থেকে'ই শিখেছি, প্রত্যাখ্যানের বেদনায়ও ভালোবাসার গান লেখা যায়। তোমার নীরবতা আমাকে শিখিয়েছে, ভালোবাসা একতরফা হলেও তার সৌন্দর্য ম্লান হয় না।...

নির্ঘুম রাত

মানুষ কী করে বুঝবে নির্ঘুম রাত্রির জ্বালা, যখন নীরবতার ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে থাকে বেদনার কাব্য।চোখের কোণে জমে থাকা অজস্র নোনাজল, আকাশের তারা হয়ে ঝরে পড়ে মনখারাপের পাতা জুড়ে। যখন ঘুম আসে না, তখন মনে জাগে প্রশ্নের মেলা, কিছু উত্তরহীন, কিছু তীব্র, কিছু দগ্ধ। প্রশ্নগুলো যেন মনের গহীনে কুঠার চালায়, যেন তারা ছায়ার মতো লেপ্টে থাকে, আরেকটি রাতকে আরও ভারী করে তোলে। জিজ্ঞাসা আসে—কেন এমন হলো? কেন সম্পর্কগুলো ফিকে হয়ে যায়? কেন প্রতিশ্রুতিরা হারিয়ে যায় কুয়াশার মতো? আর এই প্রশ্নের ভারে,তীব্র নীরবতা চিৎকার হয়ে ওঠে। মানুষ হয়তো দেখে শুধু ক্লান্ত চোখ, কিন্তু বোঝে না ভিতরের সেই অব্যক্ত কাহিনী। জানি, কেউই বুঝবে না— নির্ঘুম রাতের জ্বালা তো একান্ত নিজের। কথায়- (ভিলেন)

সাদা-কালো জীবন

রঙিন শহরে জীবন গুলো সাদাকালো, চারপাশে আলো, কিন্তু হৃদয়ে অন্ধকার ছড়ানো। বিশাল ভবন, চকচকে রাস্তায় মানুষ চলেছে দ্রুত, কিন্তু কেমন যেন ফাঁকা, কোথাও নেই হাসির সুর। চোখে চোখে ক্ষুধা, মুখে মুখে লুকানো ক্লান্তি, সবারই যেন এক অদৃশ্য যুদ্ধ, এক চিরকালীন বাস্তবতা। এই শহরের রঙিন আলো, যতই চকচকে হোক, মানুষের মন কেন যেন একটুও উজ্জ্বল হয় না। শহরের মাটির নিচে, মুখোশের আড়ালে, একটাই চাওয়া— একটু শান্তি, একটু ভালোবাসা। কিন্তু এখানে রঙ আর দৃষ্টি মেলাতে গিয়ে, জীবন গুলো সাদাকালো হয়ে যায়, নির্জনতায়। রঙিন শহরে জীবনের এই সাদাকালো চিত্র, কখনো আমরা ভুলে যাই, সত্যিকার রঙটা কোথায়। এ যেন এক কাঁটার মতো, হৃদয়ে যা খোঁচায়, জীবন ফিরে পেতে, রঙের চেয়েও বেশি দরকার ভালোবাসা।