সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

তোমার জন্য লেখা এক চিরন্তন কবিতা।

 ❑ —নিধি, বলো তো, কেন?

কোন অপরাধে এ এষণা, এ অবজ্ঞা?

আমি কি তবে এতটা'ই নগণ্য, এতটা'ই দোষী?

ভালোবাসা দিতে গিয়ে'ই কি করলাম ভুল?

তোমার চোখের পাতা যতবার পড়েছে আমার দিকে,

আমার হৃদয় ততবার ভেঙেছে নতুন এক ছন্দে।

তবু তুমি আমাকে 'ভিলেন' আখ্যা দিলে—

শুধু এ কারণে যে আমি তোমায় চেয়েছিলাম।


তোমার হাসির আড়ালে যে বিষাদ লুকিয়ে ছিল,

আমি কি তার সারথি হতে চেয়েছিলাম বলে'ই?

তোমার চোখে যে এক বুক ঝড়,

আমি কি তার বৃষ্টি হয়ে ঝরতে চেয়েছিলাম বলে'ই?

তোমার নীরবতাকে ভাষা দিতে গিয়ে

তোমার পাথর হৃদয়ে ছোঁয়া দিয়েছিলাম ভুলে।


তুমি কি জানো, নিধি?

তোমার অভিমানের প্রতিটি শব্দে আমার হৃদয় রক্তাক্ত হয়েছে বারবার। তোমার প্রত্যাখ্যানের প্রতিটি শীতল দৃষ্টিতে আমার স্বপ্নগুলো ঝরে পড়েছে অ'কালে।

—তবু আমি থেমে যাইনি,

তোমার নাম ধরে ডেকেছি প্রতিটি রাতের নিঃশব্দে।

তোমার স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে

তোমার ছায়াকে মায়া ভেবে ভেবেছি দিনের পর দিন।


কিন্তু তুমি চুপ, সব সময় চুপ।

তোমার সেই চুপ থেকে'ই শিখেছি,

প্রত্যাখ্যানের বেদনায়ও ভালোবাসার গান লেখা যায়।

তোমার নীরবতা আমাকে শিখিয়েছে,

ভালোবাসা একতরফা হলেও তার সৌন্দর্য ম্লান হয় না।

তুমি আমায় ভেঙে দিয়েছ, —নিধি,

তবু আমি ধ্বংসস্তূপের মাঝে খুঁজে নিয়েছি

তোমার জন্য লেখা এক চিরন্তন কবিতা।


—কথায়; (ভিলেন)

—২১'শে নভেম্বর **

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সাদা-কালো জীবন

রঙিন শহরে জীবন গুলো সাদাকালো, চারপাশে আলো, কিন্তু হৃদয়ে অন্ধকার ছড়ানো। বিশাল ভবন, চকচকে রাস্তায় মানুষ চলেছে দ্রুত, কিন্তু কেমন যেন ফাঁকা, কোথাও নেই হাসির সুর। চোখে চোখে ক্ষুধা, মুখে মুখে লুকানো ক্লান্তি, সবারই যেন এক অদৃশ্য যুদ্ধ, এক চিরকালীন বাস্তবতা। এই শহরের রঙিন আলো, যতই চকচকে হোক, মানুষের মন কেন যেন একটুও উজ্জ্বল হয় না। শহরের মাটির নিচে, মুখোশের আড়ালে, একটাই চাওয়া— একটু শান্তি, একটু ভালোবাসা। কিন্তু এখানে রঙ আর দৃষ্টি মেলাতে গিয়ে, জীবন গুলো সাদাকালো হয়ে যায়, নির্জনতায়। রঙিন শহরে জীবনের এই সাদাকালো চিত্র, কখনো আমরা ভুলে যাই, সত্যিকার রঙটা কোথায়। এ যেন এক কাঁটার মতো, হৃদয়ে যা খোঁচায়, জীবন ফিরে পেতে, রঙের চেয়েও বেশি দরকার ভালোবাসা।

আমরা একে অপরের কাছে বোবা।

 ❑ তারপর সেই যে কথা বলা বন্ধ হলো, আর কখনো আমাদের শব্দের প্রয়োজন'ই পড়েনি। শব্দগুলো যেন ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল, অভিমানের ভাষাও ততদিনে থেমে গেছে। এক সময় আমরা কথা বলতাম ঘণ্টার পর ঘণ্টা, ছোট্ট দেরিতে অভিমান জমতো আকাশের মতো। প্রত্যেকটা বাক্য ছিলো আমাদের হৃদয়ের এক টুকরো, প্রতিটি শব্দে ছিলো ভালোবাসার ছোঁয়া। কিন্তু আজ? আমরা একে অপরের কাছে বোবা হয়ে গেছি।  না কোনো প্রশ্ন, না কোনো উত্তর, শুধু নীরবতা, যেন এক অস্পষ্ট দেওয়াল। কখন থেমে গেল এই প্রবাহ? কেন এই নীরবতা শিকড় গেড়েছে আমাদের মাঝে? হয়তো সময়, হয়তো দূরত্ব,কাছের মানুষ,  অথবা আমরা নিজেরা'ই। তবু এই নীরবতায় এক অদ্ভুত সত্য লুকিয়ে আছে— শব্দহীনতাও ভালোবাসার এক রূপ, যেখানে দূরত্ব বাড়ে, কিন্তু স্মৃতির রেশ বেঁচে থাকে। —কথায়; (ভিলেন) —২৪শে নভেম্বর ২২

|| নিস্পাপ অপরাধ ||

❑ শুনো, মায়াবতী— আমার প্রেমে পড়ার বয়স ছিল না, শুধু তোমার এক জোড়া চোখের দিকে তাকিয়ে অপরাধ করেছিলাম! সে অপরাধের শাস্তি হলো— এক জীবনের অপেক্ষা, এক পৃথিবীর দূরত্ব, আর এক নামহীন অন্ধকার, যেখানে তুমি নেই, শুধু তোমার ছায়া রয়ে গেছে! "জানতাম কি?" তোমার চোখে ডুবে যাওয়াটা এত বড় পাপ হবে? তুমি কি বোঝোনি, আমার হৃদয়টাকে বন্দী করার দায় তোমারও কিছুটা ছিল? ভুলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু স্মৃতিরা পথ আগলে দাঁড়ায়— সেই প্রথম দেখা, সেই শেষ বিদায়, সেই অপূর্ণ কথারা আজও বাতাসে ঝুলে আছে, কোনো এক দুর্বোধ্য ভাষায় আমাকে ডাকে। মায়াবতী, তুমি তো চলে গেছো— তাহলে আমার অপরাধের ক্ষমা মিলবে কবে? নাকি আজীবন এই শাস্তিই বয়ে বেড়াতে হবে, এক নিষ্পাপ অপরাধীর মতো? ─────────────── | লেখায় - মোঃ সোহান | #দন্ত্যস | ৫'ই ফেব্রুয়ারী |২৫ ইং|৭৬৯| ───────────────